নুরুজ্জামান সরকার,জেলা প্রতিনিধি (নীলফামারী):
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় কাঁচা মরিচ চাষীর মাথায় হাত।উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নের মরিচ চাষীরা এবার তাদের আশানুরুপ মরিচের দাম না পাওয়ায় তারা খুব দুঃচিন্তার মধ্যে আছে।
পুষনার গ্রামের মরিচ চাষি ছাদে মিয়া বলেন, আমার ৬০ শতাংশ জমিতে ২৮ হাজার টাকা খরচ করে মরিচের আবাদ করেছি। এবার প্রতিমন দুইশত টাকা দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি করতে হচ্ছে। অথচ আগের বছর ৮শত টাকা করেও কাচা মরিচ বিক্রি করেছি।
উপজেলার পুুষণা গ্রামের কয়েকজন কৃষক জানায় এবার যে মরিচ উৎপন্ন হয়েছে তা গত বছরের চেয়ে দ্বিগুণ, কিন্তু মরিচের দাম কম হওয়ায় তারা খুব হতাশার মধ্যে আছে। স্থানীয় এক কৃষক জানায় এবার তারা বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তারা মরিচ চাষ করে, তাদের একটাই আশা মরিচ উৎপাদন করে তারা এবার লাভবান হবে।
কেশবা গ্রামের মরিচ চাষী আনিছার রহমান বলেন, ‘ ২৮ শতাংশ জায়গা আবাদ করতে ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে । শ্রমিকের মূল্য, বীজ, অন্যান্য খরচ তুলতে পানির দরে মরিচ বিক্রি করছি। ক্ষেতেও নষ্ট হচ্ছে মরিচ। এবার আমার মাথায় হাত।
কিশোরগঞ্জ কৃষি অফিস জানান। সরকার করোনাকালে কৃষকদের মাঝে সার ও বীজ বিতরণ করেছেন। অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার মরিচের ফলন ভালো হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় বাজারে মরিচের দাম কম রয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।